
বাগেরহাটে সাপের কামড়ে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ফকিরহাট উপজেলায় ছয় বছরের শিশু সজিব ও চিতলমারীতে রব্বান বানু (৫০) নামের এক গৃহবধূ রয়েছেন।
শিশু সজিব ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইটকুমার গ্রামের আব্দুল হালিম শেখের ছেলে ও রব্বান বানু জেলার চিতলমারী উপজেলার চর-মাটিভাঙ্গা গ্রামের মোমরেজ আলীর স্ত্রী।
রব্বান বানুর পারিবারিক সূত্র জানায়, শনিবার রাতে শোবার ঘরের আলমিরার উপরে হাত দিতে গেলে তাকে সাপে কামড় দেয়।
এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে চিতলমারী ও কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। কিন্তু কোনো হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার ওষুধ অ্যান্টিভেনাম না থাকায় তাৎক্ষণিক তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি।
শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রোববার ভোররাতে চার ছেলে-মেয়ের মা রব্বান বানুর মৃত্যু হয়।
অপরদিকে শিশু সজিবের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে বাবার সঙ্গে ভাত খেতে বসে সজিব। এ সময় একটি সাপ ব্যাঙ ধরে নিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে শিশু সজিবকে কামড় দেয়।
পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৪ জুলাই রাতে জেলার কচুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আড়িয়ামর্দন গ্রামে ৫ম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রীকে সাপে কামড় দেয়।
তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে অ্যান্টিভেনাম না থাকায় শেষে খুলনা মেডিকেলে নেয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ চন্দ্র মণ্ডল জানান, আমাদের কাছে যে পরিমাণ অ্যান্টিভেনাম ছিল তা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই রোগীকে সেবা দিতে পারছি না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ভ্যাকসিনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
পাঠকের মতামত